अन्य भाषाएँ
আমি কেন ঈশ্বরকে বিশ্বাস করবো? Who is God?
প্রকৃত ভাবে কি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করা যেতে পারে? ঈশ্বর যদি সত্যিই থাকেন, তাহলে তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ নিশ্চয়ই থাকবে! এটা শুধুমাত্র ধর্মের ও কাল্পনিক কথা নয় ত?
ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস: বাস্তব নাকি শুধুমাত্র একটা কল্পনা?
ভগবান, ঈশ্বর, আল্লাহ, ইত্যাদি শব্দগুলি আমাদের কাছে কখনও কখনও এমন একটা বিষয় তৈরি করে যেটার উপর আমরা কল্পনা করতে পারি। পুস্তকে, গল্পের মধ্যে, এবং সত্য ঘটনাগুলিতে আমাদের কাছে ‘ভগবান’ শব্দটি শুনতে ভাল লাগে, কিন্তু আমাদের জীবনে এই সবকিছুকে যেন কাল্পনিক মনে হয়। অনেক মানুষদের এই প্রশ্নটি ভেবে দেখার আছে যে কেনই বা আমরা ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করবো?
পৃথিবীর মোত জনসংখ্যার মধ্যে ৭% মানুষেরা হল নাস্তিক। এরা হল সেই মানুষ যারা ঈশ্বরের উপর অথবা কোনো প্রকারের অলৌকিক শক্তির উপর বিশ্বাস করে না। বর্তমানে এটা একটা সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানের যুবকদের কাছে ঈশ্বরকে বিশ্বাস না করা একটা ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাস্তিক হওয়া যেন কোনো না কোনো ভাবে একটা ‘কুল’ বিষয়। কিন্তু যদি কোনো বিষয় সত্যি হয় অথবা কোনো বিষয়ের যদি অস্তিত্ব থাকে, তাহলে সেটাকে অস্বীকার করা হল মুর্খামি।
তাহলে আমি কেন ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করবো না?
কেননা আমরা এমন কয়েকটি কারণ লক্ষ্য করি এবং বুঝি যা আমাকে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করতে সাহায্য করবে। আসুন, আমরা লক্ষ্য করবো ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ।
1. এই সৃষ্টির শুরু প্রমাণ দেয় যে কেউ এই সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন। দর্শনশাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেক বস্তুর অস্তিত্বের পিছনে কোনো না কোনো কারণ অবশ্যই থাকে। এই সৃষ্টির সূচনারও নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে এবং সেটা স্বয়ং ঈশ্বর। তিনিই এই সৃষ্টির রচনা করেছেন।
2. আমাদের এই পৃথিবীর সৃষ্টিতে যে জটিলতা রয়েছে, এটা এই বিষয়ের প্রমাণ দেয় ঈশ্বর শুধুমাত্র এই পৃথিবীকেই সৃষ্টি করেননি, তিনি এটাকে পরিচালনাও করছেন। এই পৃথিবীতে হাওয়া, জল এবং বাকি সমস্ত উপাদান, সবাই নিজের স্থানে এমন মাত্রায় রয়েছে যে গাছ-পালা, জীবজন্তু, এবং এমনকি আমরা মানুষেরা শুধুমাত্র এই পৃথিবীতেই জীবিত থাকতে পারি এবং অন্য কোথাও পারি না।
3. এই প্রকৃতি কিছু নিয়ম অনুযায়ী চলে, যেমন মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম, যেটার অনুযায়ী দুটো বস্তু একে অপরকে নিজেদের দিকে আকর্ষিত করে। এই প্রকারের আরও অনেক প্রকৃতির নিয়ম রয়েছে যা এই পৃথিবীকে চালিয়ে রাখে এবং এই বিষয়ের প্রমাণ দেয় যে এই নিয়মগুলি স্থাপন করার জন্য নিশ্চয়ই কেউ আছে।
4. আমাদের শরীরের কোষের মধ্যে পাওয়া ডি.এন.এ কোড আমাদের শরীরের রঙ-রূপ, আকার, আমাদের আচরণ, ইত্যাদির সৃষ্টি করে থাকে। এটা এই বিষয় সম্বন্ধে বলে যে আমাদের শরীর কোনো কম্পিউটারের মতো, একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের দ্বারা প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামার আর কেউ না, স্বয়ং ঈশ্বর।
5. ঈশ্বর আমাদের অন্বেষণ করেন, আমাদেরকে তাঁর দিকে ডাকেন। তিনি তাঁর অস্তিত্বের চিহ্ন সমস্ত স্থানে ছেড়ে রেখেছেন যাতে আমরা তাঁর কাছে পৌঁছতে পারি। প্রকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে তাঁর অসীম সৌন্দর্যের একটা ঝলক, এবং মানুষদের সাথে আমাদের সম্পর্কের ভালোবাসার মধ্যে তাঁর অনন্তকালীন ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।
6. ঈশ্বরের পুত্র, যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে আমরা ঈশ্বরের সমস্ত গুণ ও লক্ষণগুলি খুঁজে পাই। যীশু খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। যীশু খ্রীষ্ট কোনো কাল্পনিক চরিত্র নন, বরং সম্পূর্ণ মানব ইতিহাসে একমাত্র ব্যক্তি যিনি আমাদের কাছে ঈশ্বরের প্রকৃত রূপ দেখিয়েছেন। বাইবেল অনুযায়ী তিনি ১০০% মানুষ ও ১০০% ঈশ্বর।
এখনও পর্যন্ত আমাদের মনের মধ্যে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করার কোনো দৃঢ় কারণ না থাকে তাহলে কেননা আমরা নিজেই যীশু খ্রীষ্টকে জানার চেষ্টা করি? এই বিষয়ে আরও কথা বলার জন্য আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। হয়ত যীশু খ্রীষ্টকে জানার মধ্যে দিয়ে আমরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করার অনেক কারণ পেয়ে যাবো!