अन्य भाषाएँ
যীশু খ্রীষ্টের প্রেম পত্র
আমাদের কাছে আমাদের ভালোবাসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কীভাবে আমরা প্রেম পত্র দ্বারা আমাদের ভালোবাসাকে ব্যক্ত করে থাকি? এটা একটা সুন্দর ও দারুণ অনুভূতি! এমনই এক প্রেম আমরা জানি যেটা নিঃস্বার্থ, প্রকৃত এবং আপনার ও আমার জন্য নিজের জীবন পরিত্যাগ করলেন, তাঁর প্রেমেতে উত্তমতা আছে, তাই আসুন, আমরা তাঁর প্রেমকে জানি!
শব্দের প্রকাশের দ্বারা ভালোবাসা ব্যক্ত করা!
যখনই আমরা ‘প্রেম পত্র’ কথাটি শুনি, তখনই আমাদের মনের মধ্যে এমনই এক চিত্র ভেসে ওঠে যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার উদ্দেশে প্রেমের শব্দ ব্যবহার করে একটা চিঠি লিখছে, এবং উত্তরেও প্রেমিকা অনেক চিঠি লেখে, এবং এটা আমাদের কাছে একটা সাধারণ বিষয় কারণ আমাদের চারিপাশে এই প্রকারের বিষয়ে দেখে থাকি, প্রতিবেশীতে, বলিউডের সিনেমাতে, গল্পে…অথবা আমাদের নিজেদের জীবনেই! এখন ত প্রেম পত্রের স্থান মেসেজ নিয়ে নিয়েছে…ফোনের ইনবক্সে, হোয়াটস্অ্যাপে অথবা ফেসবুকে…কিন্তু সজ মানুষেরা তাদের মনের কথা শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে, সেটা মেসেজের মধ্যে দিয়ে হোক অথবা কাগজে লেখার মধ্যে দিয়ে হোক…
আমাদের প্রেম
আমাদের মধ্যে সবাই কখনও না কখনও ভালবেসেছে। এই কথাটিকে আমরা অস্বীকার করতে পারব না। এটা সেই সময় যখন আমরা সম্পূর্ণ সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমাদের প্রেমিকাদের বলে থাকি যে আমরা তাকে কতটা ভালোবাসি। আমরা যখন এই কথাগুলি লিখে থাকি, তখন আমরা আমাদের শব্দগুলিকে অত্যন্ত ভেবেচিন্তে বেছে নিই। আমরা আমাদের প্রেমিকাকে কতটা চাই, সেই কথাগুলি লেখার সময়ে কতটা না চিন্তাভাবনা করি! আমাদের প্রেমিকা আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্ব রাখে, এটা বলার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকি। এবং এটা একটা ন্যায্য বিষয়…অবশেষে সে ত আমার প্রেমিকা…আমি তাকে ভালোবাসি! আমি ত তার জন্য আমার প্রাণও দিয়ে দিতে পারি, তাই না…!!!
ঈশ্বরের প্রেম
ঈশ্বরও আমাদের সাথে এমনই প্রেম করেছে। এর এক ঝলক আমরা বাইবেলের মধ্যে দেখতে পাই, যেখানে লেখা আছে, “ঈশ্বর জগতকে এমন প্রেম করলেন যে তাঁর একমাত্র পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়”।
এই কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে ঈশ্বরের প্রেম আমাদের অনন্ত জীবন প্রদান করে যেটা যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করা দ্বারা পাওয়া যায়। ঈশ্বরের প্রেম আমাদের বিনষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই কারণেই ঈশ্বরের প্রেমকে আদর্শ মনে করা হয় কারণ তাঁর মতো প্রেম কেউ আমাদের করতে পারে না এবং বাইবেলকে ঈশ্বরের অথবা যীশু খ্রীষ্টের প্রেম পত্র বলা হয়ে থাকে।
কী বললেন…ঈশরের প্রেম পত্র?
হ্যাঁ…যেহেতু বাইবেল আমাদেরকে ঈশ্বরের প্রেম সম্পর্কে বলে। বাইবেলে এমনই হাজার হাজার কথা লেখা আছে যা আমাদেরকে আমাদের প্রতি যীশু খ্রীষ্টের প্রেম সম্পর্কে বলে থাকে। এবং এই প্রেম হল এক প্রকৃত প্রেম…
একবার যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ব্যবস্থা অথবা নিয়ম কী, যেটা আমাদের মেনে চলা উচিৎ…এবং যীশু শুধুমাত্র দুটো কথা বলেছিলেন যেটা প্রেম সংক্রান্ত –
প্রথম…আমরা যেন আমাদের ঈশ্বরকে আমাদের সম্পূর্ণ হৃদয়, মন, আত্মা ও শক্তি দিয়ে প্রেম করি…এবং
দ্বিতীয়…আমরা যেন আমাদের প্রতিবেশীদের নিজেদের মতো প্রেম করি।
যীশু খ্রীষ্টই আমাদেরকে শিখিয়েছেন এমনকি শত্রুদেরকেও প্রেম করতে।
কিন্তু বাস্তবে এটা কীভাবে সম্ভব? তাহলে ভালোবাসার কি কোনো পরিভাষা আছে, যেটা জানার ফলে আমরাও প্রকৃত প্রেম করতে পারব?
একটা আদর্শ প্রেম অথবা প্রকৃত প্রেম
বাইবেলে আমরা প্রকৃত প্রেমের পরিভাষা খুঁজে পাই। বাইবেল বলে – “প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না, প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না, অধার্ম্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যের সহিত আনন্দ করে; সকলই বহন করে, সকলই বিশ্বাস করে, সকলই প্রত্যাশা করে, সকলই ধৈর্য্যপূর্ব্বক সহ্য করে”।
ঈশ্বর বাইবেলে আরও বলেছেন, “…আর এখন বিশ্বাস, প্রত্যাশা, প্রেম, এই তিনটী আছে, আর ইহাদের মধ্যে প্রেমই শ্রেষ্ঠ”।
এই কারণেই বাইবেলকে যীশু খ্রীষ্টের প্রেম পত্র বলা হয়ে থাকে, এমন এক ঐতিহাসিক প্রেম পত্র যেটাকে পড়ে লোকেদের জীবন বদলে গিয়েছে এবং যেটাকে পড়ে লোকেরা প্রকৃত প্রেমকে জানতে পেরেছে। এবং যীশু খ্রীষ্ট ত শুধুমাত্র আমাদের জন্য প্রেম পত্র লেখেননি, বরং আমাদের জন্য ক্রুশের উপর নিজের প্রাণ বলিদান করেছিলেন। এই প্রকারের প্রেম এই জগতে আমাদের জন্য আর কেউ করেনি।
যদি আপনি যীশু খ্রীষ্টের এই প্রেম পত্র পড়ে তাঁর প্রকৃত প্রেম সম্পর্কে জানার ইচ্ছা রাখেন, তাহলে আমাদের সাথে যুক্ত হন।